নিউজ ডেস্ক ০৪ জুন ২০২৫ ০৭:২১ এ.এম
চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার (৪ জুন) থেকে। পরদিন ৫ জুন পালিত হবে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফার দিন। সকালেও আসছেন অনেকে। সবার মুখে মুখে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি।
মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। মিনায় যে দিকে চোখ যায় তাঁবু আর তাঁবু। চৌচালা ঘরের মতো তাঁবুতে সময় কাটাচ্ছেন হাজিরা। পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক তাঁবু। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা ফোম, বালিশ, কম্বল বরাদ্দ। মিনায় রাতযাপন জীবনের এক পরম পাওয়া। হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতেই নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করছেন।
মূলত স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনা প্রান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত আমল। আজ দিন-রাত মিনায় অবস্থান করে কাল ভোরে তারা চলে যাবেন আরাফার ময়দানে। সেখানে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফার ময়দানেই হজের খুতবা প্রদান করা হয়। এবার হজের খুতবা দেবেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ।
হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ মোট ৩৪টি ভাষায় এবার সম্প্রচার করা হবে। বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। হজের খুতবা বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারের বিষয়ে তদারকি করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হাজিরা মিনায় অবস্থানকালে তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। সবসময় জিকির-আজকারে মশগুল থাকা উচিত। জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
মিনায় হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। সব তাঁবুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে।
নিউবাংলা/জিএস