আন্তর্জাতিক ডেস্ক ০৩ জুন ২০২৫ ০৫:২৮ পি.এম
২০ শতকে দক্ষিণ এশিয়ায় দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন মোহনদাস গান্ধী ও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তারা দুজনেই গুজরাটি। ভারত ও পাকিস্তানের জাতির পিতা হিসেবে পরিচিত এই দুই নেতা ছাড়াও গুজরাটি ছিলেন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লভভাই প্যাটেল।
আজকের ভারতেও গুজরাটিদের প্রভাব অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার সহযোগী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির মুখ্য কৌশলবিদ অমিত শাহও গুজরাটের। আর ব্যবসায়ী জগতের শীর্ষ ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। যাদের শিল্পগোষ্ঠী বন্দর থেকে শুরু করে টেলিকম পর্যন্ত নানা খাতে আধিপত্য বিস্তার করছে। ২০১৪ সালে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন আদানির ব্যক্তিগত জেটে চড়ে দিল্লি যান, যা তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ।
তবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকলেও, সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুজরাটিরা অনেকটা পিছিয়ে ছিল। স্বাধীনতার পর ভারতের আত্মপরিচয় মূলত তৈরি করেছিল এক ইংরেজিভাষী ও বাঙালি-প্রধান বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। গুজরাটিরা প্রচলিত ছকের মতো মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যে মন দিয়েছিল। তারা মুম্বাইয়ের শেয়ারবাজারে অবদান রাখেন, পূর্ব আফ্রিকায় ব্যবসা করেন, আবার ইউরোপ-আমেরিকায় হীরা বাণিজ্যের নেতৃত্বেও রয়েছেন। এমনকি ব্রিটেনেও গুজরাটি দোকানদারদেরই অন্যতম শক্তিশালী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা হয়।
ব্যবসার বাইরে গুজরাটিদের কথা সাধারণত মনে পড়ে তাদের নিরামিষভোজিতা ও রাজ্যের মদ নিষিদ্ধ করার কারণে। কেউ কেউ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার কথাও মনে করিয়ে দেন, যেখানে প্রায় এক হাজার নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলমান। কেউ কেউ বলেন, গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ইতিহাস বহু পুরোনো।