New Bangla24 ০১ জুন ২০২৫ ০৯:৩১ পি.এম
জিএম কাদেরের বাড়ির সামান্য আগুন নিয়ে যাদের এত চিন্তা, তারা বিগত নয় মাসে আওয়ামী সন্ত্রাসী-খুনিদেরকে ধরতে কয়টা অভিযান চালিয়েছে? কতজনকে গ্রেফতার করেছে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই— এমনটা লিখেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
রোববার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
সারজিস আলম লেখেন, গত ৩ দিন আগে রংপুরে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত অবৈধ নির্বাচনের একাধিকবারের অবৈধ মেয়র মোস্তফা আবার পদে ফিরে আসতে আওয়ামী লীগের পোষ্য বি টিম জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে! আওয়ামী লীগ ও ভারতের সাথে নেগোসিয়েশন করে সাময়িক বিরোধিতার ভান ধরে বিরোধী দলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে দলটি। এমনকি বিএনপি-জামায়াত যখন প্রহসনের অবৈধ নির্বাচন থেকে দূরে থেকেছে, হাজারো অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছে, তখন এই দলটি বিরোধী দল সেজে আওয়ামী লীগকে সরকারি দলের বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করেছে! সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে!
তিনি আরও লেখেন, গত ২ দিন আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুরে গিয়ে আবারও স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা শুরু করেছে! অতঃপর যখন রংপুরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য একসাথে জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অহিংস বিক্ষোভ মিছিল করে, তখন দলটির সন্ত্রাসীরা সেই বিক্ষোভ মিছিলে প্রথম হামলা চালায়! এরপর জিএম কাদেরের বাড়িতে একটি বাইক পোড়ানোর ঘটনা দেখা যায়।
তিনি লেখেন, এই বাইক পোড়ানোর মব বা ভ্যান্ডালিজমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রংপুরের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্টদেরকে খুঁজতে নয় মাসের সর্বোচ্চ বড় অপারেশনের জন্য মাঠে নামে! মহানগর বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি এবং জেলা ও মহানগরের বৈষম্যবিরোধীর আহবায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতেই পারে এটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যে ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনাগুলোর কারণ কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে না খুঁজে সর্বশেষ বিষয় নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানো শুরু হয়।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, জিএম কাদেরের বাড়ির পুরানো বাইক আর সামান্য আগুন নিয়ে যাদের এত চিন্তা, তারা বিগত নয় মাসে আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনিদেরকে ধরতে কয়টা অভিযান চালিয়েছে? কতজনকে গ্রেফতার করেছে? যেই মোস্তফা একাধিক অবৈধ নির্বাচনে মেয়র হয়ে পরিবারের সদস্য ও সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে লুটপাট দুর্নীতি ও সিটি কর্পোরেশনকে ডাকাতির ক্ষেত্র বানিয়েছে, সেই মেয়র মোস্তফাকে ধরতে কয়দিন অপারেশন চালানো হয়েছে? নয় মাসে রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী দখলদারদের থেকে জনগণের ন্যায্য সম্পদ অর্থ উদ্ধারের জন্য কয়টি অভিযান চালানো হয়েছে?
জাতীয় পার্টির যে সন্ত্রাসীরা অবৈধ মেয়র মোস্তফার নেতৃত্বে প্রথম ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে , যে জিএম কাদেরের এলাকায় সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতিকে উসকে দিয়েছে তাদেরকে ধরতে কয়টি অভিযান চালানো হয়েছে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনও যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম দেখতে চাই।
সবশেষ তিনি লেখেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাদেরই বি টিম জাতীয় পার্টি রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করলে, সেই চেষ্টাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করা হবে।